যে কোনো কাফের দেশকে ইসলামী দেশ হিসাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ইসলামের ‘আল-তাকিয়া নীতি’ এর ভূমিকা…

babaisraeli.com2021010401344325645645644574756234232342

যে কোনো কাফের দেশের মোমিন সম্প্রদায় যখন সে দেশের কাফের সম্প্রদায়ের কাছে নিজেকে তুলনামূলকভাবে দুর্বল বোধ করে, তখন নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে এবং শক্তি বৃদ্ধির জন্যে কাফেরদের অর্থাৎ অমুসলিমদের সাথে মিথ্যা কথা বলা, তাদের সাথে প্রবঞ্চনা করা, এবং যেন তেন প্রকারেন তাদের বোকা বানানোর পুরো মাজহাবী অনুমতি ওদের কাছে থাকে। এই অবস্থায় মোমিন সম্প্রদায়, উপর থেকে প্রবঞ্চনা করার সময়, অভ্যন্তরীন ভাবে নিজের ভেতরের ঈমানকে দৃঢ় রাখে। এই ভাবে, মোমিন সম্প্রদায় নিজের ইসলামিক এজেন্ডা কে এগিয়ে নিতে কাফেরদের সাথে প্রতারণা করে নিজের অভ্যন্তরীণ তথ্য, গতিবিধি এবং কার্যকলাপগুলিকে অত্যন্ত গোপন রাখে। সুতরাং উপরোক্ত ভাবে প্রতারনা, ভেদ এবং সমস্ত ধরণের অনৈতিক নীতি ব্যবহার করে অসম্ভব পরিস্থিতিতেও সক্ষমতা অর্জনের এই ইসলামী নীতিটিকে ‘আল-তাকিয়া’ বলা হয়।

ছবি: ইসলামে আল্লাহর ব্যতীত অন্যের নামে কোনো কিছুই খাওয়া নিষেধ
ভিডিও: ইসলামের ‘আল-তকিয়া’ নীতির উদাহরণ

উদাহরণস্বরূপ, যেমন আমরা সবাই জানি যে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও ইবাদত করা বা দেবদেবীদের নামে প্রসাদ গ্রহণ করা ইসলামে একেবারেই হারাম, কিন্তু ইসলামের আল-তাকিয়া নীতি অনুসারে যে কোনো কাফের দেশে দুর্বল হওয়ার ক্ষেত্রে নিজের ইসলামী এজেন্ডা এগোনোর জন্য যদি কোনো মুসলমান মূর্তিপূজা করে, প্রসাদ গ্রহণ করে বা এমন অনুষ্ঠানগুলিতে অংশ নেয় যেখানে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও ইবাদত অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তবে তার কাজটিকে অপরাধ বলে গন্য করা হয় না। এমনকি কাফের দেশে দুর্বল হলে মুসলিম জনগণ নিজেদের নামও পরিবর্তন করতে পারে বা ছদ্ম ব্যক্তিত্বও ধারন করতে পারে।

বছর 1947 এ ভারত বিভাজনের পর প্রায় 30 থেকে 40 বছর ধরে, যত দিন ভারতের মুসলিম জনসংখ্যা আজকের তুলনায় অনেক কম ছিল, তত দিন মোহাম্মদ ইউসুফ খান ওরফে দিলীপ কুমার, মাহজাবিন বানো ওরফে মীনা কুমারী এবং মমতাজ জাহান দেহলভী ওরফে মধুবালার মতো অনেক বলিউড শিল্পীরা দীর্ঘদিন ধরে ইসলামের একই নীতির দরুন হিন্দু নামের আড়ালে বলিউডের অভ্যন্তরে কাজ করে গেছে। তারপর, 1980-90 দশকের পরে ভারতের মুসলিম জনসংখ্যা যেই একটি নির্দিষ্ট স্তর অতিক্রম করলো, তখনই বলিউডে কাজ করা মুসলিম শিল্পীরা হিন্দু নামের আবরণ ফেলে দিয়ে নিজেদের বাস্তবিক ইসলামিক স্বরূপে প্রকট হয়ে গেল। গত 70 বছরের মধ্যে ইসলামের ‘আল-তাকিয়া নীতি’ এর সাহায্যে মোমিনীনরা আজ বলিউডকে এমন এক অবস্থায় এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে যে এখানে কাজ করা অনেক হিন্দু শিল্পীদের বাধ্য হয়ে মুসলিমদের তোয়াজ করে তাদের পদানত হয়ে চলতে হচ্ছে। এ ছাড়া ভারতে প্রচুর সংখ্যায় ‘লাভ-জিহাদ’ এর ঘটনার প্রেক্ষাপটে এই একই ‘আল-তাকিয়ার’ শিক্ষার অনুসরণ করে জিহাদী মুসলিম যুবকরা কাফের যুবতিদের নিজেদের চক্রান্তে জড়িয়ে ‘গজওয়া-এ-হিন্দ’ এর তেহরিক কে পুরোদস্তুর ভাবে জামা পরিয়ে যাচ্ছে।

ছবি: ট্রেড জিহাদে (বাণিজ্য জিহাদ) ‘আল-তকিয়া নীতি’-এর ব্যবহার

উপরোক্ত বিষয়গুলিকে যদি সামগ্রিকভাবে বিশ্লেষন করে উপসংহারে পৌঁছানো যায় তবে বলা যেতে পারে যে ‘আল-তাকিয়া নীতি’ এর দ্বিতীয় অর্থ হ’ল ‘নিজের দুর্বল অবস্থায় গাধাকেও বাপ বলে গণ্য করা যায়’। হিন্দু-মুসলিম ভ্রাতৃত্ব, ভারতের গঙ্গা-যমুনী তেহজিব, শান্তিপ্রিয় মাজহাব, সেক্যুলারিজম ইত্যাদি জুমলার দোহাই – সবই ইসলামের ‘আল-তাকিয়া নীতি’ এর বিভিন্ন মাত্রা, যা অত্যন্ত অসৎ, চতুর এবং ধূর্ত মোমিন সম্প্রদায়ের দ্বারা ভারত, নেপাল ইত্যাদির মতো কাফের দেশগুলিতে, যেখানে মুসলিম সম্প্রদায় অন্যান্য সম্প্রদায়ের তুলনায় দুর্বল, সেখানে সাফল্যের সাথে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর বিপরীতে এই কাফের দেশগুলিতে মুসলিম সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা যেই একটি নির্দিষ্ট স্তর অতিক্রম করে ক্ষমতা অর্জন করে ফেলে, তারই সাথে পূর্বোক্ত ভ্রাতৃত্ব, গঙ্গা-যমুনি তেহজিব, এবং শান্তিপ্রিয়তার জুমলা, গাধার মাথা থেকে শিংয়ের মতো বিলীন হয়ে যায়, এবং তারপরে ‘আল-তাকিয়া’ ব্যবহারের ফলে কাফের সম্প্রদায়ের যারা নিজেদের পায়ের তলার জমি হারিয়েছে তাদের ‘কাটা এবং খোসা ছাড়ানো’ আরম্ভ হয়ে যায়। এভাবে কয়েক বছরের মধ্যেই কাফের দেশটিকে মুসলিম সম্প্রদায় ইসলামী দেশে রূপান্তরিত করে। আজ বিশ্বে উপস্থিত যতগুলি ইসলামী দেশ রয়েছে, সেগুলিতে উপরে বর্ণিত পদ্ধতির মাধ্যমেই ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে।

ছবি: ট্রেড জিহাদে (বাণিজ্য জিহাদ) ‘আল-তকিয়া নীতি’-এর ব্যবহার

বাবা ইজরায়লী এখানে এই কথাটি উল্লেখ করা অত্যন্ত আবশ্যক মনে করেন যে, একদিকে যেমন, ইসলামী সম্প্রদায়ের গর্ভস্থ শিশু পর্যন্ত ‘আল-তাকিয়া নীতি’র সফল ব্যবহার সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন, অন্যদিকে, ইহুদি বাদে বিশ্বের প্রায় সমস্ত কাফের সম্প্রদায়ের বাচ্চারা, তরুণরা এমনকি পরিপক্কতা অর্জন করা বয়স্ক ব্যক্তিরা পর্যন্ত এই নীতিটি বুঝতে এখনও সফল হয় নি। ইসলামের এই ‘আল-তাকিয়া’ হ’ল সেই মহা অস্ত্র যার সাহায্যে মোমিনিন গত 1,400+ বছরে পুরো বিশ্বের ‘দারুল-হার্ব’ (যুদ্ধের স্থল) – অর্থাৎ কাফের দেশগুলিকে ‘দারুল-ইসলাম’ (ইসলামী দেশ) এ রূপান্তরিত করতে অসাধারন সাফল্য লাভ করেছে। মাজহাব-এ-ইসলামের প্রচারের জন্য পীর-মুর্শিদ, সুফী-আউলিয়া, বাদশাহ-সুলতান, খলিফা-নিজাম, মুজাহিদিন-গাজী (কাফেরদের শিরশ্ছেদ করা) এমনকি ইসলামের নবীও করে উঠতে পারে নি, এই ইসলামী নীতি ‘আল-তাকিয়া’ তাই করে উঠতে সফল হয়েছে। তাই আমরা এই ইসলামী ‘আল-তাকিয়া নীতি’ কে ‘রসূলাস্ত্র’ নামে সম্বোধন করে থাকি।

ইসলামের এই ‘আল-তাকিয়া নীতি’ এমন একটি সফল নীতি যে এটি বিশ্বের প্রতিটি ধরণের জিহাদে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, হিন্দু দেবদেবীদের নাম, ছবি এবং প্রতিমাগুলিকে ঘৃণা করে যে মোমিন সম্প্রদায়, তারা কেবল কাফের দেশগুলিতে ‘ট্রেড-জিহাদ’ বা ‘বাণিজ্য-জিহাদ’ এর ক্ষেত্রে নিজেদের ধান্দা চমকানোর জন্য না কেবল কাফেরদের সেই দেবদেবীদের নামটুকু ব্যবহার করে বরং অনেক সময় ওদের তাঁদের সামনে ধূপ কাঠি, ধূপ বাতী এবং ফুলের মালা সরবরাহ করতেও দেখা যায়। অনেক ইসলামী উলেমারাও ইসলামের এই ‘আল-তাকিয়া নীতি’ কে জায়েজ করতে বিভিন্ন ফাতওয়া জারি করেছেন। নীচে সংলগ্ন পিডিএফ ফাইলগুলি দেখে আপনি কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত ইসলামী নীতি ‘আল-তাকিয়া’ এর সম্পর্কে প্রমাণ পেতে পারেন।

সুতরাং, আপনি সর্বদা মনে রাখবেন যে বিশ্বের প্রতিটি কাফের দেশে উপস্থিত প্রতিটি মোমিন নিজেদের ইসলামিক স্বার্থ অর্জন ও সিদ্ধির প্রতি সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতি সহ ইসলামের এই ‘আল-তাকিয়া নীতি’ অনুসরণ করে থাকে। এটা আলাদা কথা যে ‘আল-তাকিয়া’-এর এই ইসলামী নীতি সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে কাফের সম্প্রদায় মোমিন সম্প্রদায়ের চাতুরী ও কৌশল ধরতে পারে না। আপনার কাছে আমাদের পরামর্শটি হ’ল এই যে আপনিও আমাদের মতো নিজের আশেপাশের মোমিন সম্প্রদায়ের গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখুন এবং তারপরে আমাদের জানান যে আপনি আপনার পরিচিত মোমিনের কোন ‘আল তাকিয়া প্রয়োগ’ টি ধরতে পারলেন। আপনার যদি সম্মতি থাকে তাহলে আমরা আপনার নামটি গোপন রেখে আমাদের পোর্টালে আপনার গল্পটি প্রকাশিত করতে চেষ্টা করবো!

শলোॐ…!

এই পোস্ট টি এই ভাষাগুলিতে উপলব্ধ–

हिंदी | বাংলা | ગુજરાતી